বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১

ভোজ্য তেলের ইতিহাস কি বলে !


বাংলাদেশ ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ভোজ্য তেল ও চর্বিতে স্বয়ংসম্পূর্ন ছিল। তখন সরিষার তেল বাংলাদেশে প্রধান ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহৃত হত, যা দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত পরিমানে উৎপাদিত হত। এখানে উল্লেখ্য যে, সরিষার তেল বাংলাদেশে প্রাচীন কাল হতে ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এছাড়াও বাদাম তেল ও তিল তেল উৎপাদিত হত দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদার বিকল্প হিসেবে। কিন্তু অপর্যাপ্ত উৎপাদন ও উচ্চমূল্য সামস্টিক জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকার কারণে এর ব্যবহার বাজারে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয় এবং ক্রমান্বয়ে ভোজ্য তেল হিসেবে বাদাম ও তিল তেলের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়।
যদিও বর্তমানে এই দুই প্রকার তৈল বীজ স্ন্যাক জাতীয় খাবার তৈরীতে ব্যবহার হচ্ছে। দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মাথাপিছু ভোজ্য তেলের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশীয় ভোজ্য তেলের উৎপাদন ততটা বৃদ্ধি পায়নি।
পরিনামে ১৯৬০ সালের পর হতে দেশে সয়াবীন তেলের আমদানী শুরু হয় যা প্রথমদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চখ-৪৮০ চুক্তির আওতায় আসত। স্থানীয় ভোক্তাগণ সয়াবীন তেল কে সহজভাবে গ্রহণ করেনি বরং একে সরিষার তেল অপেক্ষা নিম্ন মানের মনে করত। তাই সয়াবীন তেল প্রধানত সরকারী রেশনিং এর মাধ্যমে বিক্রী হত এবং নিম্ন আয়ের জনগণই বেশী ব্যবহার করত।
পরবর্তীতে দেশে উৎপাদিত সরিষার তেলের অপর্যাপ্ত উৎপাদন এবং মূল্য বৃদ্ধির কারণে ভোক্তাগন সয়াবীন তেলের দিকে ঝুঁকে পড়ে যা তুলনামূলকভাবে সস্তায় এবং চাহিদার বিপরীতে সহজেই পাওয়া যেত আর এভাবেই সয়াবীন তেলের দখলে চলে যায় দেশীয় ভোজ্য তেলের বাজার।
পাম তেলের প্রবেশ ঘটে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরবর্তী দেশীয় চাহিদার বিপরীতে। তবে ১৯৯০ সালের আগ পর্যন্ত এদেশে
অপরিশোধিত পাম তেল কে পরিশোধন করার ব্যবস্থা ছিল না বিধায় শুধু পরিশোধিত পাম অলিনই আমদানী হত যা দেশীয় বাজারে পাম তেল নামে পরিচিত ছিল। তখন পরিশোধিত অলিন প্রধানত সিংগাপুর হতে আমদানী হত এবং সরাসরি বাজারে বিক্রী হত।
অন্য দিকে, আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সমূহ কর্তৃক সাহায্য হিসাবে আমদানীকৃত পরিশোধিত পাম অলিন সরকার
কর্তৃক রেশনিং এর মাধ্যমে বিতরণ করা হত। উন্নত গুনগত মান এবং বাজার মূল্যের দিক দিয়ে অন্যান্য ভোজ্য তেলের তুলনায় সস্তা হওয়ায় পাম তেল দ্রুত ভোক্তাগণের আস্থা পেতে সক্ষম হয়।
কিন্তু ১৯৮০ সালের মাঝামাঝিতে পাম তেলের বিরূদ্ধে
বিতর্ক এবং ক্রমবর্ধমান বাজার পরিস্থিতির ভিত্তিতে সাধারণ জনগণের মধ্যে পাম তেলের গুরুত্ব কমে যায় এবং আস্তে আস্তে আমদানী চাহিদাও কমে যায়।
পরবর্তীতে, ১৯৯০ সালের দিকে দেশীয় ভোজ্য তেল পরিশোধন প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নতমানের পরিশোধন প্রযুক্তি ও আধুনিক
সুযোগ সুবিধা সংবলিত প্লান্ট স্থাপন করায় অপরিশোধিত পাম তেল আমদানী শুরু হয় এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত
পরিশোধিত পাম তেলের সাশ্রয়ী মূল্য ও উন্নত গুনগত মানের কারণে স্থানীয় ভোক্তাদের নিকট হতে ভাল সাড়া পায়। ১৯৯৮
সালের পর আরো উন্নত মানের ডাবল ফ্রেকশনেটেড পাম তেল যা স্থানীয়ভাবে সুপার পাম নামে বিক্রি হয়, পরিচিতি ঘটার পর
পাম তেলের চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকে যা স্থানীয় বাজারে সুপার পাম নামে পরিচিত। বর্তমানে পাম তেলই দেশের অন্যতম প্রধান ভোজ্য তেল।

রবিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২১

কাঠে ভাংগা ঘানির সরিষার তেল প্রস্তুতকরণ।

 কাঠে ভাংগা ঘানির সরিষার তেল প্রস্তুতকরণ।

চক চক করিলে সোনা হয়না এই প্রবাদবাক্য সবাই জানি
ঝাঁঝ ও কালার ফুল হইলেই খাঁটি সরিষার তেল হয় না। ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনঃ কাঠে ভাংগা ঘানির সরিষার তেল

স্বাস্থ্য উপকারিতায় কালো জিরার তেল




 কালো জিরার তেলে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি- ইনফালাম্যাটরি কমপ্লেক্স যা শরীরে বিভিন্ন রকম রোগের বংশবৃদ্ধিতে বাধা দেয়। যেমনঃ

১)ক্যান্সার প্রতিরোধে
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে কালো জিরা তেলের নিয়মিত ব্যবহার ব্রেইন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার সেল জন্মাতে বাধা দেয়। কালো জিরার তেলে থাকা থাইকিউমিন প্রোগ্রাম মূলত ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে থাকে।
২) লিভার ও কিডনি কার্যক্রম ঠিক রাখতে
২০১৩ সালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, কালো জিরার তেল কিডনি ও লিভারের কার্যক্রম ঠিক,রাখতে সাহায্য করে। তবে অবশ্যই সেক্ষেত্রে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩) ডায়বেটিস প্রতিরোধে
এন্ডোক্রিনলজি এন্ড মেটাবলিজম জার্নালের এক রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়, কালো জিরায় থাকা এন্টিডায়বেটিক প্রোপ্রার্টিজ রয়েছে। যা রক্তে সুগার লেবেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪) স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে কালো – জিরার তেল
কালো জিরা তেল মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে থাকে। ফলে মস্তিষ্কের কার্যক্রমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত এক চামচ করে কালো জিরার তেল খেলে সুফল পাওয়া যায়।
৫) মাথা ব্যাথা সারাতে
কালো- জিরার তেল বেশ উপকারী মাথা ব্যাথা সারাতে। কপালের দুই পাশে মালিশ করলে বেশ আরাম পাওয়া যায়।
৬) বাতের ব্যাথায় কালো- জিরার তেল
বাতের ব্যাথা কালো-জিরার তেলের নিয়মিত মালিশ বেশ উপকারি। এতে থাকা এন্টি- ইনফালাম্যাটরি ত্বকের সেল,গুলোর,মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করে বাতের ব্যাথায় আরাম দেয়।
৭) পুরাতন টিউমার সারাতে
এই রোগ সারাতে বেশ প্রাচীন কাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে,আসছে। কালো-জিরার তেলে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট পুরাতন টিউমারের সেল গুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
৮) হাঁপানি দূর করতে
হাঁপানি দূর করতে,কালো-জিরার তেল অনেক আগে থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে কালো- জিরার তেলের নিয়মিত মালিশ বা খেয়ে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
৯) ফোঁড়া সারাতে
প্রায় কম – বেশি আমরা সবাই ফোঁড়া ব্যাথাদায়ক যন্ত্রণা পার করি। এই ফোঁড়া সারাতে কালো-জিরার তেল অতুলনীয়। ফোঁড়া পেকে গেলে তার, মাথায় কালো- জিরার তেল দিয়ে রাখলে কয়েক দিনে ব্যাথা কম ও ফোঁড়া সেরে যাবে।
১০) ওজন কমাতে
কালো-জিরার তেল শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস ও মেটাবলিজম জার্নালের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়,কালো-জিরার তেল বডি ম্যাস ইনডেক্স (BMI) ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়ে যায়।
১১) হার্ট ভালো রাখে
কালো- জিরার তেলে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট হার্টে রক্ত চলাচলের মাএা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের ওপর চাপ পড়ে কম। সহজে হার্ট সুস্থ থাকে।
১২) গ্যাসট্রিকের সমস্যায়
প্রায়শ আমরা সবাই সমস্যাটির পড়ে থাকি। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন গরম দুধের সাথে এক চামচ কালো-জিরার তেল মিশিয়ে খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা দূর হবে ৷
১৩) উচ্চ রক্ত-চাপ নিয়ন্ত্রণে
এই সমস্যাটি প্রায় সকল বয়সের এখন নিত্য সঙ্গী। এখানে কালো- জিরার মতো কালো- জিরার তেলে আপনি খাদ্য তালিকা যোগ করতে পারেন। এতে সহজেই উচ্চ রক্তচাপ আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
১৪) পুরুষত্ব হীনতা দূর করতে
বর্তমান সময়ে প্রায় এই সমস্যাটির কথা,শোনা,যায়। কালো-জিরার তেল নিয়মিত সেবনে পুরুষের শুক্রানু সমস্যা সমাধান হয়। নারী- পুরুষের যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে কালো-জিরার তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৫) ঠান্ডাজনিত রোগ সারাতে
আপনার ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি-কাশিতে গরম রং চায়ে, কাপে কয়েক ফোটা কালো-জিরার তেল মিশিয়ে পান করলে বেশ আরাম পাওয়া যায়।


১৬) দাঁতের সুরক্ষায় এবং জীবাণু প্রতিরোধে
নারিকেল তেলের সাথে কয়েক ফোটা কালো-জিরার তেল মিশিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের গোড়া,শক্ত হয় এবং মুখের জীবনু প্রতিরোধ করে। সাথে সাথে মুখের দূর্গন্ধ দূর করে। আপনার দাঁতের হলুদ দূর করে কালো-জিরার তেল।
কালো-জিরার তেলকে আপনি মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে,পারেন। সেক্ষেত্রে এক চা-চামচের ১/৪ অংশ কালো- জিরার তেল,তিলের তেল এক চা-চামচ ও কয়েক ফোটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
রুপচর্চায় কালো-জিরার তেল
স্বাস্থ্যের,পাশাপাশি রুপচর্চায়ও,কালো- জিরার তেল বেশ উপকারী। যেমনঃ
ত্বকের যত্নে
ত্বকের যত্নে কালো-জিরার তেল অনেক কার্যকরী।
ব্রনের সমস্যায়
ব্রনের সমস্যায় দিনদিন যেন বেড়েই চলে যেন ব্যস্ত জীবনে। কালো-জিরার তেলে থাকা এন্টি-মাইক্রোবিয়াল, এন্টি-ইনফালাম্যাটরি ত্বকের ব্রনের জীবনু গুলো ধ্বংস করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কালো-জিরার তেল ৫৮% জীবানু ধ্বংস করে প্রথম সপ্তাহে এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ৩৮% জীবাণু হ্রাস পায় দ্বিতীয় সপ্তাহে।
একজিমা দূর করতে
ত্বকের একপ্রকার বিশ্রী সমস্যা হচ্ছে একজিমা। কালো- জিরার তেলের এন্টি-বায়টেরিয়াল কমপ্লেক্স ত্বকের অভ্যন্তরীণ থেকে একজিমার সেল গুলো কে ধ্বংস করে এবং রোগটি সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
সোরিয়াসিস
এটিও এক প্রকার ত্বকের সমস্যা। এখানে ত্বকের চুলকানি সহ দাগ পড়ে যায়।এখানেও কালো-জিরার তেল এই রোগটি নির্মূলে সাহায্য করে।
শ্বেত রোগ দূর করতে
শ্বেত বা ছুলী রোগটা সারাতে কালো-জিরার তেল বেশ উপকারী। আগে একটুকরো আপেল ছুলীর স্থানে কিছু ক্ষণ ঘষে নিতে হবে। তারপর সেই স্থানটিতে কালো- জিরার তেল লাগাতে হবে। এভাবে একমাসে অনেকটা ছুলী রোগের সমাধান হয়ে যাবে।
ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে
কালো-জিরার তেলে থাকা ফ্যাটি এসিড ও অ্যামানো এসিড ত্বকের ভিতরের লিপিড লেয়ারকে ময়েশ্চারাইজ করে। এতে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের সেল গুলোকে উজ্জ্বল করে।
ত্বকের বলিরেখা দূর করে
বর্তমান সময়ে বয়সের আগে মুটিয়ে যাওয়া আমাদের ত্বক। কালো-জিরার তেলে থাকা এন্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। এতো আরও রয়েছে এন্টি- ফালাম্যাটরি যা ত্বকের স্ট্রেস গুলো দূর করে।
চোখের পাপড়ির ঘনত্ব বাড়াতে
অনেকেই চান ঘন কালো চোখের পাপড়ি। এখানে কালো-জিরার তেল আপনাকে সাহায্য করতে পারে। কয়েক ফোটা কালো-জিরার তেল নিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখের পাপড়িতে ব্যবহার করুন।সকালে মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন। তবে অবশ্যই এখানে সাবধা, থাকতে হবে যেন চোখের মাঝে যেন চলে না যায় তেলটি।
চুলের যত্নে কালো-জিরার তেল
চুলের যত্নে কালো-জিরার তেল অসামান্য ভূমিকা পালন করে।
চুল পড়া কমাতে
এখনকার সাধারণ চুলের সমস্যা এটি। নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে কালো-জিরার তেল ব্যবহার করলে চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়। পরিমাণমতো নারিকেল তেল নিয়ে তার সাথে এক- চামচ কালো-জিরার তেল মিশিয়ে ব্যবহার,করতে হবে। এই তেলটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এখানে তেলটি চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করে দিতে হবে।
চুল অকালে পেকে যাওয়া রোধ করতে
অনেকটা অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও বিভিন্ন রকম দুশ্চিন্তা আমাদের,অকালে,চুল পেকে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কালো- জিরার,তেল হালকা,গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করলে, চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে সহজে চুলের এই অকাল পেকে যাওয়া রোধ করা সম্ভব হয়।
চুলকে লম্বা করতে
কালো-জিরার তেলে থাকা অ্যামানো এসিড চুলকে লম্বা করতে,সাহায্য করে সাথে চুলের কার্বন ফিরাতে সাহায্য করে। এতে সহজেই চুল কালো ও ঘন হয়।
চুলকে করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল
সাধারণত চুলের ফলিক এসিড হ্রাস পেলে চুল পাতলা ও রুক্ষ হয়ে যায়। এই সমস্যা সমাধানে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আধা চা-চামচ কালোজিরার তেল মাথার তালুতে পলও চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করতে হবে। প্রতিদিন ব্যবহারে চুলের হারোনো স্বাস্থ্য ফিরে,পেতে সাহায্য করবে।
তবে এতো উপকার আপনি তখনই পাবেন, যখন আপনার জন্য সঠিক মানের তেল পাবেন। আলাল তেল কল(Alal Oil Mill) ফেসবুক পেজ

কালোজিরা তেল


প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এজন্য একে সকল রোগের মহঔষধও বলা হয়ে থাকে। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে, কেননা এতে একমাত্র মৃত্যু ব্যতীত সর্ব রোগের মুক্তি রয়েছে”।
সত্যি তাই, কালোজিরের মধ্যে রয়েছে নাইজেলোন, থাইমোকিনোন, লিনোলিক অ্যাসিড, ওলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম ,ফসফেট, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি ২, নায়াসিন, ভিটামিন-সি, ফসফরাস, কার্বোহাইড্রেট। সুস্থ থাকতে তাই প্রতিদিন কালোজিরা খাওয়া উচিৎ।
শুধু খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতেই নয়, আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতেও কালোজিরার ব্যবহার হয়। কালোজিরার বীজ থেকে একধরণের তেল তৈরি হয়, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও কালোজিরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে ৷ জেনে নিন কালোজিরার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কেঃ
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে কালোজিরা ও কালোজিরার তেল। নিয়মিত কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সতেজ থাকে। এতে করে যে কোনও জীবানুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে দেহকে প্রস্তুত করে তোলে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।
২. বাতের ব্যাথায় আরাম পেতে, ব্যথার জায়গা ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে কালোজিরার তেল মালিশ করুন। এক চা- চামচ কাঁচা হলুদের রসের সঙ্গে ১ চা চামচ কালোজিরার তেল খান।
৩. সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে, এক চা চামচ কালোজিরার তেলের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু বা এক কাপ লাল চায়ের সঙ্গে আধ চা চামচ কালোজিরের তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার খান। পাশাপাশি, এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি কমে। বুকে কফ বসে গেলে কালিজিরে বেটে, মোটা করে প্রলেপ দিন একই সাথে ।
৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রনে রাখতে প্রতিদিন সকালে দু'কোয়া রসুন চিবিয়ে খেয়ে, সারা শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে রোদে আধ ঘণ্টা বসে থাকুন। পাশাপাশি ১ চা চামচ কালোজিরার তেলে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলেও ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫. কালোজিরা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও খুব উপকারী। এটি রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। এতে করে কালোজিরা ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রনে রাখতে সহায়তা করে।
৬. যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরার তেল অথবা ভর্তা রাখুন খাদ্য তালিকায়। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাস কষ্টজনিত সমস্যা দূর করে।
৭. নিয়মিত কালোজিরা খেলে দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কে রক্ত সঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে; যা আমাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৮. কালোজিরার তেল আমাদের দেহে বাসা বাঁধা দীর্ঘমেয়াদী রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
৯. নিয়মিত কালোজিরা খাওয়ালে দ্রুত শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটে। কালোজিরা শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও অনেক কাজ করে।
১০. যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালিজিরা। প্রসূতি মায়েরা ১ চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত খেলেও শতভাগ উপকার পাওয়া যায়।
এছাড়াও নিয়মিত কালোজিরার তেল সেবনে চুলের গোড়ায় পুষ্টি ঠিকমতো পায়, ফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। অনেকেরই চুল পড়া, দুর্বল চুল, শুষ্ক চুল ইত্যাদি নানা রকম সমস্যা থাকে। এক্ষেত্রে সপ্তাহে কয়েকবার কালিজিরার তেলের ব্যবহার চুলের সমস্যাকে দূর করতে পারে।

আলাল তেল কল(Alal Oil Mill)
 

সর্ষের তেল বা সরিষার তৈল সর্ষের (সরিষা) বীজ নিষ্পেষণ দ্বারা প্রস্তুত তেল।

 

সর্ষের তেল বা সরিষার তৈল সর্ষের (সরিষা) বীজ নিষ্পেষণ দ্বারা প্রস্তুত তেল। এই তেল রান্নার জন্যে, এবং গায়ে মাখা বা মালিশ করার কাজে ব্যবহার হয়। সর্ষের তেলের ঝাঁঝের জন্যে সর্ষের তেলের রান্নার আলাদা বিশেষত্ব আছে।
সর্ষের তেলের ঝাঁঝের কারণ অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট নামক একটি উদ্বায়ী সালফারযুক্ত যৌগ। সর্ষের তেল যদি জলের সংস্পর্শে না আসে তাহলে কিন্তু তাতে ঝাঝঁ হয় না। তাজা সর্ষের তেলে অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট থাকে না, থাকে সিংগ্রিন নামে তার গ্লুকোসিনোলেট যৌগ। জল বা অ্যাসিডের সাথে মিশ্রণ বা আলোড়নের ফলে মাইরোসিনেজ নামে একটি উৎসেচক সক্রিয় হয়ে সিংগ্রিন থেকে গ্লুকোজ আলাদা করে দিয়ে ঝাঁঝালো অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট তৈরি করে।
ঝাঁঝালো অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট
সর্ষের তেলকে পাতন করলেও উচ্চতাপে মাইরোসিনেজ সক্রিয় হয়ে যায় ও অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট উবে যায়, পরে তাকে ঘনীভূত করে এই গন্ধ তেল (অ্যালাইল আইসোথায়োসায়ানেট) পাওয়া যায়। আলাল তেল কল(Alal Oil Mill)

ঘানিতে ভাঙ্গা সরিশার তেল 
Mustard oil has been popularly used in countries like India, Rome, and Greece for thousands of years.
Mustard was first grown in India around 3000 BC.
Its first known uses were medicinal – Hippocrates used mustard seeds to prepare certain medicines.
The Romans added mustard seeds to their wine and Pythagoras, the Greek scientist, used it as a natural treatment for scorpion stings.
Apart from its medicinal uses, mustard oil has been used by North Indian women for cooking for decades.







ভোজ্য তেলের ইতিহাস কি বলে !

বাংলাদেশ ১৯৬০ সাল পর্যন্ত ভোজ্য তেল ও চর্বিতে স্বয়ংসম্পূর্ন ছিল। তখন সরিষার তেল বাংলাদেশে প্রধান ভোজ্য তেল হিসেবে ব্যবহৃত হত, যা...